২০শে মে, ২০২৫ ইং, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

তানোরের সেই মেয়েটি এখনো মানসিক চাপে ভুগছে

মাদারল্যান্ড ডেক্স:: তানোরের কাঁমারগা ইউপির কৃষ্ঠপুর গ্রামের বাসিন্দা মোবারক হোসেনের পুত্র গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে তানোরের কলমা ইউপির চাকুইট গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কন্যার সাথে  মুঠোফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। কিন্তু গোলাম রাব্বানী এই অভিযোগ অস্বীকার করে এখন তাকে বিয়ে করতে অসম্মতি জানান ।

 

 

এ ঘটনায় একটি প্রতিবেদনে তথ্য ভুল থাকায় ভুল সংবাদ প্রকাশ  হয় যে কলমা ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম (মেম্বার), চৌরখৈর গ্রামের মোজাম, কাঁমারগা ইউপি সদস্য শয়ন প্রামানিক ও সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম, জার্জিস মন্ডল ও গ্রাম প্রধান মোজাম মন্ডল প্রমূখগণ সালিশ বৈঠক করে একটি মেয়েকে কৃষ্ঠপুর গ্রামের মোবারক হোসেনের বাড়িতে জোরপূর্বক তুলে দেন। এদিকে সালিশদারগণের এমন অমানবিক আচরণে অসুস্থ মোবারক হোসেন হঠাৎ করেই মানসিক টেনশনে শয্যাশয়ী হয়ে মূত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

 

 

ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য মাদারল্যান্ড ডেক্স ৬ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে সরজমিনে কাঁমারগা ইউপির কৃষ্ঠপুর গ্রামে জনাব মোবারক হোসেনেরর বাসায় যাই । সেখানে ক্যামেরার সামনে সরাসরি গোলাম রাব্বানীর মাতা ও তার বড় বোনের সাথে কথা হয় এবং তারা সত্যতা স্বীকার করে বলেন যে গোলাম রাব্বানীর বাবা জনাব মোবারক হোসেন স্টোক করেন  চলতি বছরের অক্টবরের ৫তারিখে । সেখানে  আরো বলা হয় স্টোক করার পর রাজশাহী মেডিক্যালে প্রায় ১৫দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং তখন থেকেই তিনি বিছানাগত। আরো সত্যতা প্রকাশ পায় যে কলমা ইউপির  চাকুইট  গ্রামের  জনৈক  ব্যক্তির  কন্যা বিথি (ছদ্দ নাম) চলতি বছরের নভম্বের মাসে জনাব মোবারক হোসেনেরর বাসায় আসেন এবং গোলাম রাব্বানীর  সাথে বিথির (ছদ্দ নাম) সম্পর্ক সত্যতা যাচাই করে গ্রামবাসীরা সকলে মিলে জনাব মোবারক হোসেনেরর বাসায় মেয়েটিকে তুলে দেয়। উক্ত সময় কলমা  ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম (মেম্বার), চৌরখৈর গ্রামের মোজাম উপস্থিত ছিলেন।

 

 

সুত্র জানায় ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই দিন তানোর থানা পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। এ সময় গ্রামের কিছু লোকজন পুলিশের ওপর চড়াও হয় ও ওই মেয়েকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে অস্বীকার করে ওই রাতেই কুষ্ঠপুর গ্রামে সালিশ বৈঠক হয়। সালিশ বৈঠকে রাব্বানীর দুলাভাই আব্দুস সালামের সাক্ষর নিয়ে তারা ওই  মেয়েকে রাব্বানীর বাড়িতে তুলে দেন। সকলের সাক্ষরের ফুটেজ মাদারল্যান্ড ডেক্সে  সংরক্ষিত রয়েছে।

 

 

মাদারল্যান্ড ডেক্সকে গোলাম রাব্বানীর মাতা ও তার বড় বোন স্পষ্ট ভাবে বয়ান দেন যে গোলাম রাব্বানীর বাবা জনাব মোবারক হোসেনেরর স্টোকের সাথে তাদের বাসায় মেয়েটির আসার কোন সম্পর্কই নেই কারন জনাব মোবারক হোসেন স্টোক করেন ৫অক্টবর ২০১৮ তারিখে আর এর একমাস বাদে অর্থাৎ চলতি বছরের নভেম্বর মাসে মেয়েটি তাদের বাসায় আসে।

 

 

চাকুইট গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কন্যা বিথি (ছদ্দ নাম) মাদারল্যান্ড ডেক্সকে গোলাম রাব্বানীর  সাথে তার প্রেমের কথা স্বীকার করে বলেন যে অনেক দিন যাবত  তাদের এই সম্পর্ক রয়েছে এবং গোলাম রাব্বানী বিয়ের প্রলোভন দেখায় । যার ফলে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠে । এক পর্যায়ে গোলাম  রাব্বানী তার বাবার অসুস্থাতার কথা বলে মেয়েটিকে নিজ বাসায় নিয়ে আসে এবং পুনরায় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় মেয়েটিও সরল মনে তার সব কথা মেনে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে রাজি হয়। এ বিষয়ে গোলাম রাব্বানীর মাতা ও তার বড় বোনের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা বলেন এই যুগে এই সব সাধারণ ঘটনা, যা ঘটার ঘটেছে তবুও মেয়েটিকে আমরা গোলাম  রাব্বানীর সাথে বিয়ে দেব না। শেষ প্রতিবেদন পাওয়া অবস্থায় জানা যায় মেয়েটি এখনও ছেলেটির বাড়িতে অবস্থানরত রয়েছে ।

 

প্রকাশিত

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ